ইউটিউব কপিরাইট স্ট্রাইক কি,ইউটিউব চ্যানেলে কপিরাইট স্ট্রাইক আসলে কিভাবে সমাধান করবো?


 

আসসালামু আলাইকুম, সকলে কেমন আছেন?  আশা করি ভালোই আছেন, আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্টিকেল নিয়ে আসলাম। আজকের আর্টিকেলটি সাধারণত ইউটিউবারদের জন্য বা যারা নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন তাদেরও অনেক উপকারে আসবে। তো পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।


আজকের আর্টিকেলটি থেকে যা যা শিখতে পারবেনঃ

১.কপিরাইট স্ট্রাইক কি ?

২.কি কি কারণে কপিরাইট স্ট্রাইক আসতে পারে?

৩. কপিরাইট স্ট্রাইক এর ফলে চ্যানেলের কি কি ক্ষতি হতে পারে?

৪.কপিরাইট স্ট্রাইক আসলে কিভাবে সমাধান করবেন?


আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।  তো আর কথা না বাড়িয়ে আর্টিকেল শুরু করা যাক।


ইউটিউব চ্যানেলে কপিরাইট আসার বেশ কিছু কারণ থাকে। আপনারা অনেক সময় ভিডিও তৈরির সময় অন্য কোনো চ্যানেলের ভিডিও কিছু অংশ বা মিউজ কপি করে কিংবা সম্পূর্ণ ভিডিও টাই কপি করে ইউটিউবে আপনার চ্যানেলে আপলোড করেন তখন আপনার চ্যানেলে কপিরাইট স্ট্রাইক চলে আসবে। ইউটিউবে ৬০ থেকে ৭০ % কপিরাইট স্ট্রাইক মিউজিক থেকে আসে তাই মিউজিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ব্যবহারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।

আমরা অনেক সময় অন্যের ভিডিও এর মতো করে থাম্বনেইল তৈরি করে থাকি। এই কাজটি ভুলেও করবেন না। থাম্বনেইল এর কারণেও আপনি কপিরাইট স্ট্রাইক পেতে পারেন। আপনি যদি কারো থাম্বনেইল এর মতো করে বা হুবহু ঐ টেক্সটগুলো দিয়ে থাম্বনেইল তৈরি করেন তাহলে যার ভিডিও এর মতো থাম্বনেইল তৈরি করলেন সে যদি চায় তাহলে আপনার ভিডিওর উপর কপিরাইট স্ট্রাইক দিতে পারে।


আরেকটি বিষয় সেটি হচ্ছে যে আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে যেমন গুগল থেকে ইমেজ নিয়ে ভিডিওতে ব্যবহার করি তাহলেও আমাদের চ্যানেলে কপিরাইট স্ট্রাইক আসতে পারে। সেজন্যে এই কাজগুলো করা যাবেনা। আপনার যদি ইমেজ ব্যবহার করতেই হয় সেক্ষেত্রে আপনি কপিরাইট ফ্রি ইমেজগুলো ইচ্ছে মতো ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইনে অনেক সোর্স রয়েছে যেখানে কপিরাইট ফ্রি ইমেজ এবং মিউজিক পাওয়া যায়। সেগুলো আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করলে কপিরাইট স্ট্রাইক আসবেনা।

কপিরাইট স্ট্রাইক মূলত ইউটিউব দেয়না, আপনি যেই ভিডিও থেকে কপি করলেন সেই চ্যানেলের মালিক মূলত আপনার চ্যানেলে কপিরাইট স্ট্রাইক দেয়।আপনার কনটেন্ট বা ভিডিও যদি অন্য আরেকটি চ্যানেল বা ভিডিওর সাথে মিলে যায় তাহলে সেই চ্যানেলের মালিক আপনার চ্যানেলে স্ট্রাইক দিতেও পারে আবার নাও দিতে পারে সেটি সম্পূর্ণ তাদের উপর নির্ভর করে। এখানে ইউটিউব শুধু ওনারকে বা মালিককে সাজেস্ট করে যে কন্টেন্টটি তাদের চ্যানেলের অনুলিপন বা কপি এবং কপিরাইট স্ট্রাইক দেওয়ার জন্য বলবে এখন মালিক স্ট্রাইক দিবে কি দিবেনা সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।


এখন মূল কথা হলো

 কপিরাইট স্ট্রাইক আসলে চ্যানেলের কি কি ক্ষতি হতে পারে?


আপনাদের অনেক সময় চ্যানেলে কপিরাইট আসলে আপনারা ভাবেন যে সবগুলো ভিডিও ডিলিট করলে হয়তো কপিরাইট স্ট্রাইক চলে যাবে এটি একটি ভুল ধারণা সবগুলো ভিডিও ডিলিট দিলেও চ্যানেলে স্ট্রাইক থেকে যাবে।তাই ভিডিও ডিলেট করার কোনো প্রয়োজন নেই। এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করা যায় যে চ্যানেলে

 কপিরাইট স্ট্রাইক থাকলে কি মনিটাইজেসন পাওয়া যাবে?

হ্যাঁ পাওয়া যাবে। আপনার চ্যানেলটা যদি ঠিকঠাক থাকে এবং পলিসি গাইড লাইন যদি মানে তাহলে অবশ্যই আপনি মনিটাইজেশন পাবেন।কিন্তু ৯০ দিনের পর যদি আবার স্ট্রাইক আসে তাহলে মনিটাইজেশন ডিজেবল বা ইউটিউব চ্যানেলটির লাইভস্ট্রিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এবং এর পর যদি আরেকবার স্টাইক আসে তাহলে চ্যানেলটির সবগুলো ভিডিও ডিলেট করে দেওয়া হবে এবং চ্যানেলটি সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে।


কপিরাইট স্ট্রাইক আসলে কিভাবে সমাধান করবেন?


কপিরাইট স্ট্রাইক আসলে কিভাবে সমাধান করবেন সেটি নিয়ে এখন আলোচনা করবো। সমস্যা যেহেতু আছে সেহেতু সমাধানও রয়েছে।আপনার ভিডিও যদি কোনো কপি না হয় এবং পলিসি গাইড লাইন মানা হয় তবুও যদি কপিরাইট স্ট্রাইক আসে তাহলে আপনি ইউটিউবের কাছে নোটিফিকেশন পাঠাতে পারেন।ইউটিউব যদি দেখে যে আপনার চ্যানেলটি ঠিক আছে তাহলে ইউটিউব আপনার চ্যানেল থেকে স্ট্রাইক তুলে দিবে।

কিন্তু যদি আপনি কারোর ভিডিও কপি করেন এবং সে যদি আপনার চ্যানেলে স্ট্রাইক দেয় তাহলে আপনি তাকে রিকুয়েস্ট বা তার সাথে কন্ট্রাক্ট করুন যেনো সে তার স্ট্রাইক তুলে নেয়।যদি সে তার স্ট্রাইক তুলে না নেয় তাহলে কি করবেন?কপিরাইট স্ট্রাইক এর মেয়াদ ৯০ দিন পর্যন্ত থাকে। ৯০ দিন পর কপিরাইট স্ট্রাইক অটোমেটিক চলে যায়।সো আপনাকে ভিডিও ডিলিট চ্যানেল ডিলিট এগুলা করার দরকার নেই।


শেষ কথাঃ

তো যাদের ইউটিউব চ্যানেলে কপিরাইট স্ট্রাইক এসেছে তারা এই পদক্ষেপ গুলো ফলো করুন আশা করি সমাধান হয়ে যাবে। আর যারা নতুন ইউটিউবার তারাও এই পদক্ষেপগুলো ফলো করতে পারেন যেনো কপিরাইট স্ট্রাইক না পান এবং আসলে কি করবেন।তো এই ছিলো আজকের আর্টিকেল।  সকলে ভালো থাকবেন, আসসালামু আলাইকুম।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url