Ip address মূলত কি এবং এই Ip address কেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে?

 

আশা করি সকলেই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি।আজকে যেই মুখ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা  করবো সেটি হচ্ছে  Ip।  এই আইপি বিষয়টা মূলত কি। ip এর সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো আজকে। 

Ip address = Internet protocol address  


তো চলুন, Ip address এর যেই সকল বিষয় আমরা শিখতে যাচ্ছি সেগুলো হচ্ছেঃ


১.Ip address  মূলত কি এবং এই Ip address কেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে?

২.Ip address এর গঠন এবং এর বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি?

৩.Public এবং private ip কি এবং এর সুবিধা এবং অসুবিধা।

৪.Hostid এবং Netid কি

৫. কিভাবে নিজের ডিভাইস এর ip address দেখবো?

৬.যেকোনো সার্ভারের ip address কিভাবে খুঁজে বের করবো?

৭.ইন্টারনেটে ip address কে কেনো লুকিয়ে ব্যাবহার করা হয় এবং এক্ষেত্রে সুবিধা কি কি?


তো আপনি যদি এই বিষয়গুলো পুরোপুরি ভাবে ভালোভাবে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।


এক কম্পিউটার থেকে আরেকটি কম্পিউটারে তথ্য আদান প্রদান করা প্রয়োজন। আর এই তথ্য আদান প্রদান করার জন্য প্রয়োজন Ip address।  সহজ কথায় বলতে গেলে ip address হলো আপনার কম্পিউটার এর ঠিকানা। ইন্টারনেট দুনিয়ায় এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে তথ্য আদান প্রদান বা যোগাযোগের জন্য ip address প্রয়োজন। ip address এর মাধ্যমে আলাদা আলাদা ডিভাইস চিহ্নিত করা যায়। এটি হলো একটি সংখ্যাগত ঠিকানা, যার দ্বারা যেকোনো কম্পিউটারকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব। এটিকে লজিক্যাল এড্রেস ও বলা যায়। আমরা যদি বলি আইপি এড্রেস এর কাজ কি? তাহলে উত্তরটি হবে, আইপি এড্রেস এর মূলত ২টি কাজ।

 সেগুলো হচ্ছে ঃ 

কম্পিউটারকে শনাক্ত করা এবং কম্পিউটারটির অবস্থান চিহ্নিত করা।কম্পিউটার শুধু বাইনারি নাম্বার চিহ্নিত করতে পারে। 

তাই Ip address গুলো বাইনারি নাম্বারের হয়ে থাকে, যেমনঃ 192.168.129.32

যেকোনো আইপি এড্রেসে চারটি করে অংক থাকে, এবং অংকগুলোকে octet বলা হয়।

বৈধ আইপি এড্রেস গুলোর দুইটি অংশ থাকে, সেগুলো হলো network id এবং host id। 

ইন্টারনেট বা অনলাইন যেহেতু বিশাল সেহেতু ইন্টারনেটে সুনির্দিষ্ট নেটওয়ার্কটি খুঁজে বের করার কাজটি network id করে থাকে। এবং কম্পিউটার বা ঐ ডিভাইসটিকে চিহ্নিত করার জন্য host id ব্যবহার হয়।

আমরা জানি যে 

Ip address এর চারটি অংক থাকে

class of ip address :

Class A: এই চারটি অংকের  প্রথম অংককে net id এবং পরের তিনটি অংককে host id বলা হয়।

Class B:এখানে প্রথম  দুটি অংককে net id এবং পরের দুইটি অংককে host id বলা হয়।

class C:এখানে চারটি অংকের মধ্যে প্রথম তিন অংক net id এবং শেষ অংকটি host idid ।


এছাড়াও আইপি এড্রেস এর আরো দুটি ক্লাস রয়েছে। তবে উপরের তিনটি ক্লাসই বেশি ব্যবহৃত হয়।


Ip address এর দুটি প্রকার রয়েছে। সেগুলো হলো private ip address এবং public ip address এখন আমরা এই দুটির বিস্তারিত জানবো।


Private ip address : ব্যক্তিগত যেই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়,সেই নেটওয়ার্ক এর প্রতিটি কম্পিউটারকে আলাদা আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য  private ip address ব্যবহার হয়। আমরা যে মোবাইল ডিভাইস বা কম্পিউটার ডিভাইস ব্যবহার করি সেগুলোতে Private ip address ব্যবহৃত হয়।


Public Ip address :

পুরো ইন্টারনেট দুনিয়ায় তো অনেকগুলো কম্পিউটার বা কানেকশন রয়েছে, এই  connection গুলোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য   public Ip address ব্যবহৃত হয়। এই পাবলিক আইপি এড্রেসগুলো সাধারণত কিনে নিতে হয়।


নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার ডিভাইস এর আইপি এড্রেস কিভাবে দেখবো?


আপনি যদি গুগলে what is my ip লিখে সার্চ করেন তাহলে গুগল আপনার পাবলিক আইপি দেখিয়ে দিবে।


 server এর আইপি এড্রেস দেখবো কিভাবেঃ


ধরুণ আপনি ফেসবুকের আইপি এড্রেস দেখতে চান তাহলে open cmd and run "ping facebook,com-t"

এখন ফেসবুকের আইপি এড্রেস শো করবে।

আমরা জানি যে ip address লুকিয়ে বা হিডেন করে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে  ব্যবহারকারীর পরিচয় পাওয়া যায় না। proxy server, VPN ব্যবহার করে Ip address লুকিয়ে ব্যবহার করা যায়।


শেষ কথাঃ

আপনারা ইতোমধ্যেই আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।  আর্টিকেলটিতে কোনো ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আপনাদের কি বিষয়ে আর্টিকেল লাগবে সেটি কমেন্ট বক্সে লিখুন। আমি পরের আর্টিকেলে সেটি উপস্থাপনা করবো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url