ডোমেইন এবং হোস্টিং কি, ডোমেইন হোস্টিং কোনটি কি ধরণের কাজ করে?


 আসসালামু আলাইকুম। 

আমাদের আজকের আর্টিকেলে যেই বিষয়গুলো থাকছে সেগুলো হলোঃ

১.ডোমেইন কি?

২.হোস্টিং কি?

৩.ডোমেইন হোস্টিং কোনটি কি ধরণের কাজ করে?

আজকের এই আর্টিকেল থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কি এই দুটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবো। তো চলুন আমাদের আর্টিকেল এর বিস্তারিত অংশে যাওয়া যাক।

ডোমেইন কি?

আমরা তো প্রতিনিয়ত ডোমেইন শব্দটি শুনে থাকি, কিন্তু এখনো অনেকে জানেন না যে ডোমেইন কি।

ডোমেইন হচ্ছে একধরণের নাম বা সহজ কথায় ওয়েবসাইটের নাম। ডোমেইন এর মাধ্যমেই ওয়েবসাইট চেনা যায়।

এখানে একটি উদাহরণ দিলে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন যে ডোমেইন জিনিসটা মূলত কি। ডোমেইন হচ্ছে একটি নাম। আপনার আশেপাশে কোনো রিলেটিভকে আপনি কিভাবে চিনেন নিশ্চয় তার নামের মাধ্যমেই চিনতে পারেন। আপনি তার নাম শোনলেই বুঝতে পারবেন যে সে কে। তেমনি ওয়েবসাইটকে চেনার জন্য নামের প্রয়োজন।  আর ওয়েবসাইটকে যে নামে ডাকা হবে সেই নামটিই হচ্ছে ডোমেইন।কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে সর্বপ্রথম তার নাম বা ডোমেইন সিলেক্ট করতে হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে এই ডোমেইনগুলো কিনে নিতে হয়। অনলাইনে অনেক ধরণের সাইট বা কোম্পানি রয়েছে যারা এই ডোমেইন গুলো টাকার বিনিময়ে রেজিষ্ট্রেশন করে দেয়। আপনি সেই সাইটগুলো থেকে ডোমেইন কিনতে পারবেন। বাংলাদেশি অনেক সাইট রয়েছে সেখান থেকেও আপনি ক্রয় করতে পারবেন।


www.google,com এইখানে google হচ্ছে ডোমেইন এবং .Com হচ্ছে এক্সটেনশন। এক্সটেনশন অনেক প্রকারের হতে পারে যেমনঃ com xyz net info  bd biz ইত্যাদি।  তবে এদের মধ্যে .Com সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। 

.com=এই এক্সটেনশন টি মূলত কমার্শিয়াল ওয়েবসাইট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

.net= নেটওয়ার্ক সংবলিত সাইটগুলোতে এটি ব্যবহার করা হয়।

.info=এই এক্সটেনশনটি দ্বারা ইনফরমেটিব ওয়েবসাইটকে বুঝায়।

biz=বিজনেস ওয়েবসাইটগুলোতে biz  এক্সটেনশনটি ব্যবহার করা হয়।

.xyz=এছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলোতে xyz ব্যবহার করা হয়। 


extension দ্বারা খুব সহজেই বুঝা যায় যে কোনটি কোন রিলেটেড ওয়েবসাইট। ডোমেইন  নাম সবসময় ইউনিক হয়।

তো সকলেই ইতোমধ্যে বুঝতে পেরেছেন যে ডোমেইন কি।এবার বলবো হোস্টিং বিষয়ঃ

হোস্টিং কি?

ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো যেই স্টোরেজ এ রাখা হয় সেই স্টোরেজকেই হোস্টিং বলা হয়।

ধরুণ আমরা আমাদের ফোনে বিভিন্ন ফাইল,ভিডিও, এডিও এগুলা রাখার জন্য মেমোরি ব্যবহার করি। তেমনি ওয়েবসাইটের ফাইল এবং সমস্ত  তথ্য রাখার জন্যও একটা স্টোরেজ প্রয়োজন।  ওয়েবসাইটের এই স্টোরেজকেই হোস্টিং বলা হয়। মোবাইলের মেমোরির যেমন নির্দিষ্ট স্টোরেজ থাকে যেমন ৪জিবি,৩২জিবি ইত্যাদি। তেমনি ওয়েবসাইটের হোস্টিং গুলোও এরকম স্টোরেজ থাকে। তবে মেমোরি আর হোস্টিং এর মধ্যে অনেক পার্থক্য।  মেমোরি মোবাইল ফোনে লাগাতে হয় কিন্ত হোস্টিং আলাদা,হোস্টিং কে একটা সার্ভার বলা যায় যেখান থেকে আপনার সাইটের তথ্যগুলো কন্ট্রোল করতেছেন।হোস্টিংগুলো যতটুকু সময়ের জন্য আপনি নিবেন সেই সময়টুকু হোস্টিং সবসময় চালু থাকবে।


হোস্টিং এর বিভিন্ন ধরণের প্রকারভপদ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে ঃ


১.শেয়ার্ড হোস্টিং 

২.ক্লাউড হোস্টিং 

৩.ভিপিএস হোস্টিং 

৪.ডেডিকেটেড সার্ভার

এখানে প্রথম তিনটি হোস্টিং এবং শেষেরটি সার্ভার। 

আশা করি সকলেই হোস্টিং বিষয়টি বুঝতে পরেছেন।


শেষ কথাঃ 

একটি পরিপূর্ণ ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে ডোমেইন এবং হোস্টিং দুটোই প্রয়োজন। এখানে ডোমেইন এবং হোস্টিং যেকোনো একটি না থাকলেও আপনি সাইট তৈরি করতে পারবেন না। বাংলাদেশি অনেক সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই ডোমেইন হোস্টিং কিনতে পারবেন। কেউ যদি ডোমেই,হোস্টিং কিভাবে কিনবো কোথা থেকে কিনবো বুঝতে না পারেন তাহলে কমেন্ট করুন আমি শিখিয়ে দিবো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url