হজরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায়বলি
[ad_1]
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে: মানবতার মুক্তির দূত মহানবি (স) মক্কার সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন
৫৮২ খ্রিস্টাব্দে : বাণিজ্য উপলক্ষে নবি (স) চাচার সাথে সিরিয়া যান।
৫৯১ খ্রিস্টাব্দে: শান্তিসংঘ হিলফুল ফুজুল গঠন করেন। এর প্রতিষ্ঠাকালীন উদ্দেশ্য ছিল ৫টি।
৫৯৫ খ্রিস্টাব্দে: ২৫ বছর বয়সে বিবি খাদিজার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
৬০৫ খ্রিস্টাব্দে: পবিত্র কাবাগৃহে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা করেন।
৬১০ খ্রিস্টাব্দে: নবি (স) হেরাগুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় জিবরাইল (আ)-এর মাধ্যমে ওহি লাভ করেন। এ সময় সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত নাজিল হয়।
৬১৩ খ্রিস্টাব্দে: রাসুল (স) সব বাধা উপেক্ষা করে আল্লাহর নির্দেশে প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করেন।
৬১৫ খ্রিস্টাব্দে: কুরাইশদের অত্যাচার থেকে মুক্তি লাভের জন্য রাসুল (স) নও মুসলিমদের আবিসিনিয়ায় হিজরতের নির্দেশ দেন। নবি (স)-এর দুর্দিনের সাথী স্ত্রী হযরত খাদিজা (রা) ও চাচা আবু তালিব ইন্তেকাল করেন।
৬১৯ খ্রিস্টাব্দে: মক্কায় ধর্ম প্রচার প্রতিকূল হওয়ায় আল্লাহর নির্দেশে রাসুল (স) সহচর আবু বকর (রা) কে সাথে নিয়ে মদিনায় হিজরত করেন। এটি ছিল তাঁর জীবনের মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা। এর মাধ্যমে তিনি ধর্ম প্রচারক থেকে রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হন।
৬২২ খ্রিস্টাব্দে: মক্কা ধর্ম প্রচার প্রতিকূল হওয়া আল্লাহর নির্দেশে রাসুল সাঃ সহচর আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে সাথে নিয়ে মদিনায় হিজরত করেন এটি ছিল তার জীবনের মূল পরিবর্তনকারী ঘটনা এর মাধ্যমে তিনি ধর্মপ্রচার থেকে শ্রেষ্ঠ নায়কের পরিণত হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম লিখিত সংবিধান মদিনা সনদ প্রণয়ন করেন। মদিনায় বসবাসরত সব গোত্রের মধ্যে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাসুল (স) এ সনদ প্রণয়ন করেন। এ সনদে মোট ৪৭টি ধারা ছিল।
৬২৪ খ্রিস্টাব্দে: বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মদিনায় মুসলমানদের প্রভাব বিস্তারে শঙ্কিত হয়ে মক্কার কুরাইশরা মদিনা আক্রমণ করলে ঐতিহাসিক বদর প্রান্তরে কুরাইশ ও মুসলমানদের মধ্যে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এতে মুসলমানরা জয়লাভ করে।
৬২৫ খ্রিস্টাব্দে: উহুদের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। বদরের যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণ করতে কুরাইশরা পুনরায় মদিনা আক্রমণ করলে উহুদ প্রান্তরে উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মুসলিম সৈন্যরা নেতার আদেশ অমান্য করায় কুরাইশদের কাছে পরাজিত হয়।
৬২৭ খ্রিস্টাব্দে: খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কুরাইশ, ইহুদি ও বেদুইনদের সম্মিলিত বাহিনী মদিনা আক্রমণ করলে রাসুল (স) পারসিক সাহাবি সালমান ফারসি (রা)-এর পরামর্শক্রমে মদিনার চারপাশে পরিখা (খাল) খনন করে কুরাইশদের আক্রমণ প্রতিহত করেন বলে এ যুদ্ধকে খন্দকের যুদ্ধ বলা হয়।
৬২৮ খ্রিস্টাব্দে: হুদায়বিয়ার সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। মহানবি (স)-এর নেতৃত্বে মদিনার মুসলমানরা মক্কায় হজ করতে রওনা দিলে হুদায়বিয়া নামক স্থানে কুরাইশরা মুসলমানদের বাধা দেয়। ফলে মুসলমান ও কুরাইশদের মধ্যে এ সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। এতে কুরাইশরা রাসুল (স) কে প্রথমবারের মতো নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এ সন্ধিকে ‘ফাতহুম মুবিন’ বা সুস্পষ্ট বিজয় বলে উল্লেখ করেন।
৬৩০ খ্রিস্টাব্দে: মহানবি (স) মক্কা বিজয় করেন। কুরাইশরা হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করায় মুসলমানরা মক্কা আক্রমণ করলে বিনা বাধায় মুসলিম বাহিনী মক্কায় প্রবেশ করে। পৃথিবীর ইতিহাসে মক্কা বিজয় ‘রক্তপাতহীন বিজয়’ হিসেবে স্বীকৃত। | এ বজয়ের সময় নবি (স) প্রতিশোধ না নিয়ে কুরাইশদের ক্ষমা করে দেন- যা ইতিহাসে বিরল ঘটনা ।হুনায়ুন ও তাবুক অভিযান পরিচালিত হয়। মক্কা বিজয়ের পর মুসলিম বাহিনী হুমায়ুন ও তাবুক অঞ্চল জয় করে ।
৬৩২ খ্রিস্টাব্দে: বিদায় হজ অনুষ্ঠিত হয়। রাসুল (স)-এর জীবনের শেষ হজ ছিল বলে এটি বিদায় হজ নামে পরিচিত। এ হজে রাসুল (স) আরাফার ময়দানে সমবেত মুসলমানদের উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এ ভাষণে তিনি মানবাধিকারের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এরপর বেশ কিছুদিন অসুস্থ থেকে রাসূল (স) ইন্তেকাল করেন ।
source: অক্ষর পত্র প্রকাশনী বই
এই কন্টেন্ট এর সারবস্তু গৃহীত হয়েছে © ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বই থেকে নেওয়া হয়েছে।
[ad_2]