বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুতি - বাংলাদেশ ব্যাংকের AD নিয়োগ পরীক্ষার A to Z প্রস্তুতি GK
[ad_1]
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুতি – বাংলাদেশ ব্যাংকের AD নিয়োগ পরীক্ষার A to Z প্রস্তুতি GK
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুতি – বাংলাদেশ ব্যাংকের AD নিয়োগ পরীক্ষার A to Z প্রস্তুতি GK বাংলাদেশ ব্যাংকে যাঁরা চাকরি করার স্বপ্ন দেখেন, তাঁদের জন্য সুখবর। ব্যাংক খাতে অন্যতম আকর্ষণীয় চাকরি হিসেবে ধরা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদ। বিসিএসের মতোই এই পদ তরুণদের অন্যতম পছন্দের চাকরি এটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের AD সহ অন্যান্য ব্যাংক জব প্রস্তুতি শুন্য থেকে – যেভাবে নিবেন (২০২২ থেকে রিটেনে নতুন ট্রেন্ড নিয়ে আলোচনা )
Google News
……………………………………………………
❂ ব্যাংকের পরীক্ষার ধরণঃ
…………………………………………………..
✅ প্রিলি। (৮০-১০০ মার্ক)
✅ রিটেন। (২০০ মার্ক)
✅ ভাইভা ( ২৫ মার্ক )
❂ ফ্যাকাল্টি বেইজড পরীক্ষাঃ
=====================
বিগত কয়েক বছর ধরে ফ্যাকাল্টি বেইজড পরীক্ষা হচ্ছে অর্থাৎ পরীক্ষা কে নিচ্ছে তার উপর নির্ভর করে পরীক্ষার প্যাটার্ন ও ভিন্ন ভিন্ন। যেমন আইবিএ , আর্টস ফ্যাকাল্টি DU, CTI, বিজনেস স্টাডিজ যেই এক্সাম টেকার হোক না কেন , আগে তাদের বিগত সালের পরীক্ষা গুলোর প্রশ্ন সমাধান করেন , এনালাইসিস করেন তাদের প্রশ্নের প্যাটার্ন কেমন সে অনুযায়ী পড়ুন, কিছু প্রশ্ন হুবহু অপশন সহ রেপিট হয়। তাই যদি সম্ভব হয় পরীক্ষার আগেই জানা যে এক্সাম টেকার কে এবং তাদের প্রশ্ন গুলো আগেই ভালো ভাবে সমাধান করলে অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। আর আগে থেকেই ভালো প্রস্তুতি নিতে হলে সবার ফ্যাকাল্টি বেইজড প্রশ্ন গুলি ভালো করে সলভ করুন।
❂ প্রিলির প্রস্তুতিঃ
……………………………………..
❂ এমসিকিউ (৮০-১০০ মার্ক এর হয়) – ( বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও কম্পিউটার) ।
এখনকার সময়ে সাধারণত বিসিএস বাদে ব্যাংক ও অন্যান্য পরীক্ষা গুলোতে যে ধরনের প্রশ্ন আসেঃ
✅ ১: বাংলা (১৫- ২৫ টি ) প্রশ্ন
✅ ২: ইংরেজি (১৫- ২৫টি ) প্রশ্ন
✅ ৩:গণিত (25 – 35 টি প্রশ্ন )
✅ ৪:সাধারণ জ্ঞান (১৫-২৫ টি ) ও
✅ ৫: কম্পিউটার (৮- ১২ টি ) প্রশ্ন আসে ।
এমসিকিউ পার্ট এর জন্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও কম্পিউটার এর কমন টপিক গুলো আগে পড়বেন , যদি বিসিএস বা অন্যান্য চাকরির প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন তাহলে বাংলা ও সাধারণ জ্ঞান অনেকটাই কাভার হয়ে যাবে, না হলে গুরুত্বপূর্ন টপিক গুলো ভালো করে পড়তে থাকুন , আর গণিত ও ইংরেজির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ন টপিক আছে যে গুলো থেকে প্রায় প্রশ্ন হয় সে গুলো আগে শেষ করুন , কম্পিউটার পার্ট টি খুবই গুরুত্ব সহকারে পড়ুন, কারণ অন্য সাবজেক্টে খারাপ করলে কম্পিউটার থেকেই কাভার করতে পারবেন।
❂ কোন বই – কিভাবে পড়বেন – টপ সাজেশন – বুক লিস্ট
………………………………………………..
👉 বর্তমান সময়ে পরীক্ষার ধরণ অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে তাহলেই আসবে সাফল্য। এখনকার সময় গুলো তে পরীক্ষা হচ্ছে ফ্যাকাল্টি বেইজড, আর আপনি যদি পড়তে থাকেন গতানুগতিক তাহলে যে কোন পরীক্ষার প্রিলিতেই পাশ করা অসম্ভব হয়ে যায় ।
❂ ব্যাংক প্রিলির জন্য কোন বই পড়বেনঃ
”””””””””””””””””””””””””””””””””’
✅১। #বাংলাঃ বাংলার জন্য জর্জ এর MP3 বা অভিযাত্রী বা অগ্রদূত বা শীকর এর বাংলাটা পড়তে পারেন । বাংলায় একটা স্ট্রং জোন তৈরি করুন ,গ্রামার পার্ট ভালো করে পড়ুন। বাংলা আপনাকে এগিয়ে রাখবে।
✅২। #ইংরেজিঃ ইংরেজি গ্রামারের জন্য Competitive Exams অথবা MASTER বা ইংলিশ টিউটর থেকে বুঝে বুঝে পড়ুন। Saifur’s এর গ্রামার ও ভোকাবুলারির বইটাও দেখতে পারেন। ইংরেজি দেখে ভয় পাবেন না, রেগুলার ইংরেজি পড়লে অনেকটাই আপনার আয়ত্তে থাকবে।
✅৩। #গনিতঃ ফ্যাকাল্টি বেইজড কোন ম্যাথ বই পড়ুন , ম্যাথ এর বেসিক টপিক গুলো আগে ক্লিয়ার করুন, আগারওয়াল ম্যাথ সাথে সাইফুরস ম্যাথ টা দেখতে পারেন বা খাইরুলস ম্যাথ বা ম্যাথ জব সল্যুশন বা অন্য কোন বই দেখতে পারেন । গণিতটা প্রতিদিন প্যাকটিস করে নিজের আয়ত্তে নিন। রিসেন্ট জব স্ল্যুশন থেকে বিগত প্রশ্ন সমাধান করে যাবেন।
✅৪। #সাধারন জ্ঞানঃ বাংলাদেশও আন্তর্জাতিকঃ জর্জ এর MP3 বা কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ম্যানুয়াল বা আজকের বিশ্ব যে কোন একটা ভালো করে পড়ুন , বেসিক ক্লিয়ার করুন, কমন টপিক গুলো আগে ভালো করে শেষ করুন। সাম্প্রতিকঃ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বা যে কোন সাম্প্রতিক ও দৈনিক পত্রিকা একবার পড়ুন ।
✅ ৫। #কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিঃ “সেলফ সাজেশন বেসিক কম্পিউটার ” বইটি দেখতে পারেন , ফ্যাকাল্টি বেইজড প্রশ্ন AUST,Arts faculty, IBA এর সকল প্রশ্নের সমাধান দেয়া আছে , স্বল্প সময়ে প্রস্তুতি নেয়া যায়। ৪৪ বিসিএস সহ গত কয়েকটি পরীক্ষায় এখান থেকে হুবহু কমন ছিল । অন্য যে কোন বিষয়ে খারাপ করলে কম্পিউটার থেকে কাভার করতে পারবেন তাই গুরুত্ব সহ পড়ুন। এই বইয়ের প্রতিটি পরিচ্ছেদের শেষে অটো সাজেশন গুলো ভালো করে পড়ূন।
Arts faculty কম্পিউটার থেকে ১০ মার্কস রাখে এবং আর্টস ফ্যাকাল্টির সকল বিগত আইসিটি প্রশ্ন ও ফুল ইন্সট্রাকশন সেলফ সাজেশন বেসিক কম্পিউটার বইতে দেওয়া আছে। বিগত আর্টস ফ্যাকাল্টির সকল প্রশ্ন সেলফ সাজেশন বেসিক কম্পিউটার থেকে হুবহু কমন ছিল। আর্টস ফ্যাকাল্টির প্রশ্নে কম্পিউটার অংশে সর্বোচ্চ কমনের প্রস্তুতি নিতে সেলফ সাজেশন বেসিক কম্পিউটার বই থেকে ব্যাংকের জন্য দেওয়া ইন্সট্রাকশন ও অটো সাজেশন গুলো আগে পড়ে ফেলুন এগিয়ে থাকবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর
❂ ব্যাংক রিটেনের জন্য কোন বই পড়বেনঃ
——————————————
👉 রিটেনে সাধারণত (২০০) মার্কস এর হয়ঃ
২০২১ এর আগের ট্রেন্ড এ যদি পরীক্ষা হয়ঃ
———————–
✅ ১। #বাংলা ও ইংরেজিঃ (১১০-১৩০ মার্ক এর হয়): এর জন্য যে কোন ফোকাস রাইটিং যেমন লতিফুর রহমান বা A2B বা ইউসুফ আলী সহ বেসিক ফোকাস রাইটিং এর যে কোন বই থেকে ধারণা নিন, পয়েন্ট ,তথ্য, উক্তি গুলো আলাদা নোট করে রাখুন কাজে লাগবে। ট্রান্সলেশন, শর্ট প্রশ্ন, লেটার ভালো করে দেখুন। মনে রাখবেন এগুলো লেখার সময় গ্রাফিক্যাল রিপ্রেজেন্টেশন করার চেষ্টা করুন ভালো মার্ক পাবেন যেমন, ছক, পয়েন্ট, গ্রাফ, রেফারেন্স, চার্ট ব্যাবহার করুন।
✅ ২। #গনিতঃ সাধারণত ৭০-৯০ মার্কের হয় ( পরীক্ষাভেদে ৭-১০ টার মত অংক থাকতে পারে): ফ্যাকাল্টি বেইজড কোন ম্যাথ বই,খাইরুলস এডভান্স ম্যাথ বা আগারওয়াল ম্যাথ বা রিসেন্ট ম্যাথ বা অন্য কোন বই দেখতে পারেন । রিটেনে গনিতে সর্বোচ্চ প্রায়রিটি দিন, গনিতেই পার্থক্য করে দেয় যে আপনি ভাইভা পর্যন্ত যাবেন কিনা । গনিতে সর্বোচ্চ ভালো করার চেষ্টা করেন। গণিত দেখে যারা ভয় পান, আগে বেসিক টপিক গুলো ভালো করে পড়েন, প্রতিদিন প্যাকটিস করুন, নিজের আয়ত্তে নিন, কিছুদিন পরে দেখবেন গণিতভিতি কেটে গেছে। গনিতে ভালো মার্ক পাওয়া যায়, ব্যাংক জব এর ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই ভালো করে পড়ুন, একেবারে দূর্বল মনে হলে এটার উপরে প্রাইভেট/কোচিং করতে পারেন।
২০২২ থেকে নতুন ট্রেন্ড এ যদি পরীক্ষা হয়ঃ
———————–
✅১ । বাংলা ফোকাস ও ইংরেজী ফোকাস রাইটিং- (৩৫+২৫ মার্কস ): তথ্য, উপাত্ত ও পয়েন্ট, চার্ট আকারে ভালো করে লিখলে এখান থেকে ভালো মার্কস পাওয়া যায়। বিদ্যুৎ ও ডলার সংকট সহ বর্তমান সময়ের আলোচিত বিষয়, এর উপরে গুরুত্ব দিতে হবে। ডেইলি পত্রিকার সম্পাদকীয় অংশগুলি ভালো করে পড়লে এখান থেকে অনেক কিছু ধারণা পাবেন।
✅২ । সাধারণ জ্ঞাণ- (১০টি)- (৩০ মার্কস ): ব্যাংক রিলেটেড টার্ম সহ অন্যান্য সাধারণ জ্ঞান এর টপিক থেকেও প্রশ্ন হয়। সুতরাং ভালো প্রস্তুতির জন্য বিস্তারিত পড়তে হবে, এক্ষেত্রে প্রিলি ও রিটেন উভয় কাভার হবে। যেহেতু কোন অপশন থাকবে না , এক্সাক্ট উত্তর টাই লিখতে হবে সুতরাং ভালো করে পড়তে হবে।
✅৩। প্যাসেজ (১টি) – (২০ মার্কস ): এখানে প্রশ্নের মাঝেই উত্তর থাকে, মাথা খাটিয়ে যথা সম্ভব কম সময় দিয়ে উত্তর করার প্যাক্টিস করতে হবে। যত সময় কম দিবেন অন্য প্রশ্নের উত্তর তত ভালো করে লিখতে পারবেন। বাসায় ভালো করে প্যাকটিস করলে এখানে ভালো করা যায়।
✅৪ । ম্যাথ (৫টি) – (৩৫ মার্কস ): কোন অলটারনেট অপশন নেই, সুতরাং আগের থেকে ম্যাথ কম থাকলেও ভালো করে পড়তে হবে, ম্যাথ ভালো পারলে এগিয়ে থাকবেন, সঠিক হলে ফুল মার্কস পাওয়া যায়।
✅৫। ট্রান্সলেশন (২টি)- (২০+২০ মার্কস ): ইংলিশ টু বাংলা ও বাংলা টু ইংলিশ। এখান থেকেও ভালো করা যায় ফোকাস রাইটিং ভালো করে পড়লে এই অংশ টি সহজ হয়ে যায়।
✅৬। সামারাইজ/প্রিসাইজ রাইটিংঃ (১৫ মার্কস ): ইংরেজিতে ভালো ধারণা ও দক্ষতা থাকলে এখান থেকে ভালো উত্তর করতে পারবেন। যে কোন ফোকাস রাইটিং এর সহায়তা নিলে প্রস্তুতি ভালো হবে।
(এখনকার সময়গুলোতে রিটেনের জন্য ব্যংক রিলেটেড তথ্য, সাধারণ জ্ঞান ও সাম্প্রতিক আলোচিত অংশ ভালো করে পড়তে হবে।)
❂ ব্যাংক ভাইভার জন্য কোন বই পড়বেনঃ
——————————————–
👉 ওরাকল বা প্রফেসরস ব্যাংক ভাইভা বইটা দেখতে পারেন বা যে কোন ভাইভার বই থেকে ধারণা নিন, ভালো হয় যারা আগে ভাইভা দিয়েছে তাদের থেকে জানা – কেমন , কি টাইপের প্রশ্ন করে। ফরমাল ড্রেসআপ অবশ্যই মেইনটেন করবেন। ভাইভায় এটেন্ড করলেই একটা মার্ক পাওয়া যায় তবে রিটেনে এগিয়ে থাকলে মেরিট লিস্ট এও এগিয়ে থাকবেন। ভাইভার আগে ভালো করে কমন বেসিক টপিক ও সাম্প্রতিক গুলো পড়ে যাবেন।
বই সিলেকশনঃ
——————————–
👉 বই সিলেকশন খুব গুরুবপূর্ণ একটা বিষয়, কোন প্রকার নিম্নমানের , সর্টকাট টাইপের বই না পড়ে বেসিক বই পড়ুন ভালো করবেন। কারন এই বইটার উপর ভরসা করেই আপনি পরীক্ষার রুমে যাবেন। যেমন নিজেই যাচাই করেন, বিগত পরীক্ষা থেকে মিলিয়ে নেন যে বইটি পড়ছেন আসলেই কয়টা কমন ছিল সেই বই থেকে, আমরা হুজুগে বাঙালি, খালি দৌড়াই, আসলে দেখি না যে কোনটা পড়লে বেসিক কাভার হবে, পরীক্ষার ট্রেন্ড এখন অনেকটাই চেঞ্জ , অনেক এডভান্স লেভেলের প্রশ্ন হচ্ছে, তাই বর্তমান ট্রেন্ড অনুযায়ী বই ফলো করে সেই অনুযায়ী পড়াশোনা করলে অনেকটাই এগিয়ে থাকা যায় ।
❂ কিভাবে_পড়বেনঃ
————————————–
✅ বেসিক ক্লিয়ার করে পড়ুন, জয় আপনারই হবে ইনশা আল্লাহ্ । বেশি বই পড়ে মনে না রাখার চেয়ে , ভালো মানের অল্প বই বার বার বেসিক ক্লিয়ার করে পড়লে মেমোরাইজ জোন তৈরি হবে, মনে থাকবে বেশি। এই বইগুলো পড়লে আপনার ব্যাংক ছাড়াও অন্যান্য চাকরির জন্য সহজ হয়ে যাবে,যদি টার্গেট থাকে আপনার বাংলাদেশ ব্যাংকের AD বা ব্যাংক জব তাহলে আজকে থেকেই শুরু করুন , সাফল্য আপনার কাছে ধরা দিতে বাধ্য।
ভালো লাগলে লেখাটি শেয়ার করার অনুরোধ রইল , এতে আর একজনের উপকারে আসতে পারে ।
কেউ একজন বলেছিল “আমি মেধাবীদের হেরে যেতে দেখেছি কিন্তু পরিশ্রমীদের দেখিনি ” কোন সাব্জেক্টে দুর্বল থাকতেই পারেন কিন্তু ভয় পাবেন না, প্রতিদিন পড়ুন কাভার হয়ে যাবে।
লেখাটির © Sattar Khan, এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আইটি , সোনালী ব্যাংক লিঃ।
সবার জন্য শুভ কামনা💚
collected
[ad_2]