c.v এবং resume কি এবং c.v এবং resume এর মধ্যে পার্থক্য কি

 

কিছু কথাঃ

আসসালামু আলাইকুম,  সকলকে এই এই আর্টিকেলে স্বাগত জানাচ্ছি।  যারা জব বা চাকরি খুঁজছেন তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। গুরুত্বপূর্ণ বলার কিছু  কারণ রয়েছে, আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন। যারা চাকরি খুজছেন বা জবের জন্য প্রতিষ্ঠানে এপ্লাই বা আবেদন করছেন, তাদের আবেদনের সময় জরুরী কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয় যেমনঃ c.v resume জমা দিতে হয়। এখন আপনারা যদি এই বিষয়গুলো না জানেন তাহলে আপনার কাঙ্ক্ষিত জবটি হারাতে পারেন। তো এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনাদের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

আজকের আর্টিকেলটিতে কি কি বিষয় রয়েছে ঃ

১. c.v এবং resume কি?

২. c.v এবং resume এর মধ্যে পার্থক্য কি?

৩. চাকরির জন্য c.v কিভাবে পাঠানো উচিত?

এই ধাপগুলো এখন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

c.v = curriculum vitae

বাংলায় সহজ অর্থটি দাড়ায় ব্যক্তিগত জীবন বৃত্তান্ত। অর্থাৎ আপনার ব্যক্তিগত জীবনে কি কি করছেন,কিভাবে শিক্ষা অর্জন করেছেন ইত্যাদি। আপনার ব্যক্তিগত জীবনের সবকিছুই এখানে থাকতে পারে। আমরা ভাবি যে c.v মূলত ১ বা সর্বোচ্চ ২পৃষ্ঠার হয়। কিন্ত না c.v ১ থেকে শুরু করে ১০পৃষ্ঠা পর্যন্তও হতে পারে। কিন্তু এতো পৃষ্ঠা হওয়ার কারণ কি? 

যেহেতু একটু আগেই বলেছি যে c.v হচ্ছে জীবন বৃত্তান্ত ।  সেহেতু এখানে জীবনের সবকিছুই উল্লেখ করা যেতে পারে। 

c.v তে মূলত যেই বিষয়গুলো উল্লেখ থাকেঃ

c.v তে প্রথমেই যে বিষয়টি উল্লেখ থাকে সেটি হচ্ছে জীবন বৃত্তান্ত। সেগুলোর মধ্যে থাকতে পারে তার নাম, সে কোথায় থাকে, হতে পারে তার কন্টাক্ট নাম্বার, ইমেইল। এই c.v ভিতর যে শুধু ফ্যমিলি বিষয়ক তথ্য থাকবে ব্যপারটি কিন্তু এরকম না।curriculum vitae তে মেইন যে বিষয়টিতে ফোকাস করা হয় সেটি হচ্ছে শিক্ষা।  আপনার জীবনে কতটুকু শিক্ষা অর্জন করেছেন,কোথা থেকে পড়াশোনা করেছেন, আপনার এই পড়াশোনার রেজাল্ট কি ছিলো এইরকম শিক্ষা বিষয়ক তথ্য c.v তে উল্লেখ থাকে।

আপনি যদি কোনো কাজের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন তাহলে আপনি আপনার c.v তে উল্লেখ করতে পারেন।আপনি যদি কোনো কাজের উপর ট্রেনিং বা কোর্স করে থাকেন তাহলে এখানে এড করতে পারেন। আপনার যতো এক্সপেরিয়েন্স বেশি থাকবে ততো কিন্তু আপনার চাকরিটা পাওয়ার সুযোগ থাকবে। আপনি হতে পারেন কোনো কবি বা অনলাইন লেখক এবং আপনার যদি কোনো প্রকাশনা থাকে তাহলে c.v তে উল্লেখ করে দিবেন।

আপনি যদি কোনো বিষয়ের উপর দক্ষ হোন বা কোনো বিষয়ের উপর আপনার অনেক স্কিল রয়েছে তাহলে c.v তে উল্লেখ করতে পারেন।

এছাড়াও আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকতে পারে সেটি হচ্ছে পুরষ্কার বা অর্জন৷ আপনার ব্যক্তিগত জীবনে যদি ভালো কোনো কিছু অর্জন করে থাকেন বা আপনার শিক্ষা জীবনে বিভিন্ন কিছু অর্জন করেছেন এই বিষয়গুলো আপনার c.v তে রাখতে পারেন।আপনার শখ কি বা অবসর সময়ে কি করেন এই বিষয়গুলোও উল্লেখ থাকবে।

এখন উপরের বিষয়গুলো থেকে মেইন যে তথ্যগুলো জানতে পারলাম সেটি হচ্ছ c.v হচ্ছে একটি জীবন বৃত্তান্ত অর্থাৎ   আপনার জীবনে যা যা করেছেন সমম্ত কিছুর তথ্য। আপনার জীবনের জব রিলেটেড সবকিছুই c.v তে উল্লেখ করবেন। কেনোনা কোনো একটি জব নিতে গিলে আপনার জীবনের জবরিলেটেড সকল কিছুর তথ্যই মূলত কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানটি চাইবে।এই হচ্ছে c.v এর সমস্ত বিষয়বস্তু। এখন আসি resume কি এবং c.v ও resume এর মধ্যে পার্থক্যটা কি?

আমরা জানি যে c.v হচ্ছে জীবন বৃত্তান্ত।  তাহলে resum কি

Resume কে সহজভাবে বলতে গেলে কাজের উপর দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা মানে যে জবটি আপনি করতে চাইবেন সেই কাজটির উপর আপনার কতটুকু অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে এইরকম কাজ করেছেন কিনা, কোথায় করেছেন এই রকম বিষয়বস্তু।c.v হচ্ছে আপনার জীবনের তথ্যগুলো ধাপে ধাপে সাজানো থাকে। কিন্তু resume হচ্ছে আপনার নাম, কন্টাক্ট নাম্বার এবং আপনি যেই জবটি করতে চাচ্ছেন সেই জবটির উপর অভিজ্ঞতা।  

c.v. এবং resume কোনটি কোথায় ব্যবহার করবেন?

রকারি কোনো চাকরির ক্ষেত্রে মূলত c.v. ব্যবহার করা হয় এবং প্রাইভেট  কোনো কোম্পানির বা চাকরির ক্ষেত্রে c.v. বা resume চেয়ে থাকে। প্রাইভেট কোম্পানির চাকরিগুলোর ক্ষেত্রে খেয়াল করে দেখবেন যে কোনটি চেয়েছে c.v. নাকি resume? C.v বা resume যেটি চাইবে সেটিই দিবেন। কখনো c.v. এর জায়গায় resume পাঠাবেন না।যদি একটির পরিবর্তে অন্যটি পাঠান তাহলে আপনি জবটি হারাবেন। 

তাহলেই বুজতেই পারছেন যে c.v এবং resume চাকরির ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

চাকরির জন্য c.v কিভাবে পাঠাবেনঃ

আমরা প্রফেশনাল কোনো জবের জন্য c.v পাঠিয়ে থাকে, অনেক সময় দেখা যায় যে আপনি জবটির জন্য সিলেক্ট হোননি। হয়তো আপনার c.v তে কোনো ভুল ছিলো। সেই ভুলগুলো কিভাবে এড়ানো যায় সেই কথাগুলোই এখন বলবো। প্রথমতো resume চাইলে কখনোই c.v পাঠাবেন না অথবা  c.v চাইলে কখনোই resume পাঠাবেন না। আপনার কাছে যেটি চাইবে সেটিই পাঠাবেন,ব্যতিক্রম করবেন না।

জিমেইল এ সিভি পাঠানোর সময় আপনার জব ডেসক্রিপশন এ যেই সাবজেক্ট দেওয়া থাকবে আপনি সেই সাবজেক্ট টিই জিমেইল এ দিবেন। জিমেইল এ c.v ফাইলটা pdf ফরম্যাট এ রাখার চেষ্টা করবেন।ওয়ার্ড ফাইল এ কখনো সি.ভি পাঠাবেন না। কারণ এসময় ইমেজ, ফ্রন্ট এগুলো মিস হতে পারে।

c.v প্রেরণের সময় আপনি এই বিষয়গুলো সতর্কতা ভাবে পাঠাবেন।  

তো আজ আর কথা বাড়াবোনা, পরবর্তীতে নতুন কোনো টিপস বা টেকনোলোজি পোষ্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url