ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য ও ঐ দিন কিভাবে ইবাদত করতে হয়
[ad_1]
ঈদে মিলাদুন্নবী এই দিনটিকে আমরা সবাই খুব আনন্দের সাথে উদযাপন করি। তবে অনেকেই এই দিনটির তাৎপর্য সম্পর্কে জানিনা। মুসলিম হিসেবে আমাদের সবারই জানা উচিত। ঈদ অর্থ খুশি আর মিলাদ অর্থ জন্মদিন।মিলাদুন্নবী অর্থ নবীর জন্মদিন।
বছরের যে সময় এই দিনটিকে পালন করা হয়
হিজরী তৃতীয় মাসের অর্থাৎ রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে এই দিনটিকে মহানবী (সা) এর জন্মদিন হিসেবে পালন করে থাকি। তবে জেনে রাখা ভালো ধারণা করা হয় এই রবিউল আউয়াল মাসেই মহানবী (সা)এর জন্ম ও মৃত্যুর মাস।
ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য
ঈদে মিলাদুন্নবী এই দিনটি আমাদের শেষ নবী মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। আমরা বাংলাদেশিরা এই দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করলেও পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা এই দিনটিকে নবী দিবস হিসেবে পালন করে।
যদিও এই দিনটিকে নিয়ে হাদিস বা কোরআন শরীফে সব পালনের কোন উল্লেখ নেই। কিন্তু তবুও এই দিনটিকে আমরা খুব আনন্দের সাথে উদযাপন করি।
কারণ যখন এই পৃথিবীর মানুষ অন্যায় -অবিচার ,ঘোর অনাচারে লিপ্ত হয়েছিল । তখন আমাদের শেষ নবী মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই পৃথিবীর বুকে আগমন ঘটে।
মহানবী (সা)-এর আগমনের পর থেকে ধীরে ধীরে এই পৃথিবীর বুকে শান্তি ফিরে আসে। যদিও মহানবী (সা) এর আগমনের পর অনেক দুঃখ -কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। তবুও পৃথিবীতে ইসলামের দাওয়াতের জন্য মহানবী (সা) কখনো পিছপা হননি।
ইসলামের জন্য তার ত্যাগ আমরা অস্বীকার করা তো দূরের কথা কখনো ভুলতে পারব না। তাই আমাদের এই শেষ নবী মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনকে আরও স্মরণীয় ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এর তাৎপর্য তুলে ধরার জন্য এই দিনটিকে আমরা এতো গুরুত্বের সাথে পালন করি।
পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশে বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী দেশগুলোতে এই দিনটিতে সরকারি ছুটি রাখা হয়। যদিও বিভিন্ন আলেমদের মধ্যে এই দিনটিকে নিয়ে মতভেদ রয়েছে ।
যে আমল করা যায়/তবে বাধ্যবাধকতা নেই
এই দিনে বিশেষ কোনো আমল করার নির্দেশ কুরআন বা হাদীসে নেই। তবে মহানবী (সা) এর জন্মে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করার জন্য রোযা রাখা ভালো। এতে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করা যায়। কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেন,”তোমরা আমার জন্য যে সালাত, সালাম ও সাওম বা রোজা পালন করে, মহানবী (সা) এর জন্যেও সালাম ও সালাত আদায় কর।”এই বিষয়ে মহানবী (সা) বলেন, “নামাজের মধ্যে দরূদে ইব্রাহিম পড়তে বলেন।”
[ad_2]