সুশিক্ষিত লোকমাত্রই স্বশিক্ষিত ভাবসম্প্রসারণ - Sportsbd
[ad_1]
ভাবসম্প্রসারণ:সুশিক্ষিত লোকমাত্রই স্বশিক্ষিত ।
ভাব-সম্প্রসারণ : শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে সুশিক্ষিত হওয়া যায় না। জীবনের বারতায় মনের তাগিদে অর্জিত জ্ঞানের বিকাশ দ্বারা প্রকৃত শিক্ষিত হওয়া সম্ভব ।
শিক্ষা জীবনের জন্য একটি অপরিহার্য বিষয়। জগৎ ও জীবনকে বাস্তব স্বরূপে চেনা-জানার জন্য এবং সর্বোপরি সামাজিক মানুষ হিসেবে মূল্যবোধ অর্জনের জন্য শিক্ষা প্রয়োজন । অন্তরকে বিকশিত করাই এর উদ্দেশ্য শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ মানবিক আচরণে অভ্যস্ত হয় এবং নিজেকে জগৎ ও জীবনের উপযোগী করে তোলে । কিন্তু শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দ্বারা তা সম্ভব নয় । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন আছে বটে; কিন্তু এর পরিসর সীমিত মানুষ প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করে প্রয়োজনের তাগিদে নয়; অন্তরের প্রেরণায় । ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা’ থেকে নিজের চেষ্টা, সাধনা ও অভিজ্ঞতা দ্বারা এ শিক্ষা অর্জিত হয় । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মানুষের মনকে ধনের প্রতি আকৃষ্ট করে উপার্জনমুখী করে । ফলে মানুষ খেয়ে-পরে বাঁচার জন্য এ শিক্ষা অর্জনে বাধ্য হয় । এতে উপার্জনের পথ সুগম হলেও মানুষের আচরণের পরিবর্তন খুব একটা হয় না। তাই প্রায়শ দেখা যায়, বড়ো বড়ো ডিগ্রিধারী ব্যক্তি জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও মূর্খের মতো আচরণ করেন । আমাদের সমাজে এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁদের উচ্চতর ডিগ্রি আছে, কিন্তু দেশ ও জাতির কল্যাণে তারা কোনো অবদান রাখতে পারেননি । তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তাদের সুশিক্ষিত করতে পারেনি। ফলে জীর্ণ লোকাচার ও অন্ধ কুসংস্কারের দেয়াল ডিঙানো তাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি । তারা এই আধুনিক যুগের মানুষ হয়েও প্রাগ্রসর চিন্তার ধারক হতে পারেননি । এটি তাদের সুশিক্ষার অভাবের ফল । আবার এমন অনেক ব্যক্তি আছেন, যাঁরা প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চ ডিগ্রি অর্জন না করেও সংস্কারমুক্ত জীবনের অধিকারী হয়েছেন। তাঁরা নিজের চেষ্টায় শিক্ষালাভ করে জগৎ ও জীবনকে আলোকিত করে জগদ্বিখ্যাত হয়েছেন । অ্যারিস্টটল, সক্রেটিস, প্লেটো, নিউটন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল প্রমুখ ছিলেন স্বশিক্ষিত । তাঁরা জগৎ ও জীবন থেকে নিজের চেষ্টায় জ্ঞানার্জন করে স্বশিক্ষিত হয়েছিলেন তাই তাঁরা মরেও অমর । তাঁদের কীর্তিগাথা আজও মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। নিজের চেষ্টায় অর্জিত শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা । স্বশিক্ষিত লোকের জ্ঞানের আলোই মানবজাতিকে আলোকিত জীব ভবনের সন্ধান দিতে পারে ।
[ad_2]