সেকেন্ড হ্যান্ড অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

[ad_1]

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের দাম দিনদিন বেড়েই চলেছে। অ্যান্ড্রয়েড ফ্ল্যাগশিপ এর দাম তো এতোই বেড়েছে যে ফোনগুলো দামের দিক দিয়ে রীতিমতো অ্যাপল এর আইফোনের চেয়েও এগিয়ে আছে। নতুন ফোনের দাম বেশি হওয়ায় কম দামে ভালো ফোন এর আশায় ব্যহহৃত অর্থাৎ সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অনেকেই। এই পোস্টে জানবেন সেকেন্ড হ্যান্ড অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার সেসব বিষয় সম্পর্কে।

সেকেন্ড হ্যান্ড অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা উচিত

সেকেন্ড হ্যান্ড অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার অনেক সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। এই পোস্টে ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ জানবেন।

কেনার রশিদ দেখুন

বর্তমানে চুরি করা ফোন বিক্রি নিয়ে বেশ সমস্যা বেড়েছে। যেকোনো দোকান হোক বা অনলাইনে পাওয়া কারো কাছ থেকে পুরোনো ফোন কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধান থাকা উচিত। চুরির ফোন কেনার ফলে আইনি ব্যবস্থার সম্মুখীন পর্যন্ত হতে পারেন। কোনো ব্যক্তি যদি তার বিক্রি করা ফোন কেনার রশিদ দেখাতে না পারে, তাহলে উক্ত ফোন কেনা থেকে বিরত থাকা উত্তম।

আরো ভালো হয় যদি ফোন কেনার সময় বক্সসহ প্রদান করা হয়। ফোনের বক্সের সাথে ডিভাইসের আইএমইআই কোড মিলিয়ে দেখুন। ফোনের আইএমইআই ও বক্সের আইএমইআই কোড না মিললে সে ক্ষেত্রে উক্ত ফোন কেনা থেকে বিরত থাকুন। যেকোনো ফোনে *#06# ডায়াল করে আইএমইআই কোড দেখতে পারবেন।

ফিজিক্যাল ড্যামেজ চেক করুন

স্মার্টফোন এর মত অতিরিক্ত ব্যবহার হয় এমন বোধহয় আর অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নেই। অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে অনেক সময় ফোন ফিজিক্যাল ড্যামেজ এর শিকার হয়, যার কারণে পুরোনো ফোন কেনার আগে অবশ্যই ফোনে কোনো ধরনের ফিজিক্যাল ড্যামেজ আছে কিনা তা চেক করা জরুরি।

আপনার যদি কোনো পুরোনো ফোন কেনার জন্য পছন্দ হয়ে যায়, তবে ফোনের ব্যাকে কোনো ধরনের স্টিকার বা স্কিন থাকলে তা তুলে ফেলে ফোনে কোনো ধরনের ড্যামেজের প্রমাণ আছে কিনা তা চেক করুন। ফোনের স্ক্রিনে কোনো ধরনের গুরুতর সমস্যা বা স্ক্র‍্যাচ আছে কিনা তা চেক করতে পারেন টেম্পরারি গ্লাস খুলে ফেলে।

ব্যবহৃত ফোন কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সেরা উপায় হলো নিজে স্বশরীরে গিয়ে দেখে কেনা। স্বশরীরে গিয়ে ফোন কিনলে তা চেক করে নেওয়ার সুযোগ থাকে। তাই ভালো হয় সরাসরি অনলাইন থেকে পুরোনো ফোন অর্ডার করা থেকে বিরত থাকা।

অরিজিনাল চার্জার ও কেবল

ফোনের বক্সে থাকা চার্জার এর চেয়ে বিশ্বস্ত কোয়ালিটির কিছুই হয়না। তাই পুরোনো ফোন কেনার সময় অবশ্যই ফোনের সাথে থাকা অরিজিনাল চার্জার ও ডাটা কেবল দাবি করুন। এর ফলে ফোনের সিকিউরিটি সম্পর্কে অধিক নিশ্চিত হওয়া যায়, আবার নতুন চার্জার কিনতে আপনাকে বাড়তি অর্থ খরচ করতে হবেনা। বিক্রেতা যদি চার্জার প্রদান করতে ব্যার্থ হয়, তবে তার দাম নিয়ে নেগোসিয়েশন করতে পারেন।

ব্যাটারি পরীক্ষা করুন

সাধারণ লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিগুলো কতদিন ভালোভাবে কাজ করবে তা ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। ফোনের বয়স যদি এক বছরের অধিক হয়, তবে কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাটারি পরীক্ষা করা উচিত। যেহেতু অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আইফোনের মত কোনো ব্যাটারি হেলথ অপশন নেই, তাই এখানে আপনাকে নিজেই পরীক্ষা করে নিতে হবে।

ফোন ৫-১০মিনিট ভালোভাবে পরীক্ষা করুন ও কোনো ধরনের দ্রুত ডিসচার্জ এর বিষয় রয়েছে কিনা তা লক্ষ্য করুন। ফোনের ব্যাটারি বেশি খারাপ হলে তা পরিবর্তন এর প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে ব্যাটারি কন্ডিশন ভালো নয় এমন ফোন না কেনা উত্তম।

ফোন রিপেয়ার করা হয়েছে কিনা জানুন

ব্যবহৃত ফোন কেনার সময় ফোন রিপেয়ার করা হয়েছে কিনা তা জানা বেশ জরুরি। কোনো ফোন যদি অনেকবার রিপেয়ার করা হয়ে থাকে, তাহলে তা কেনা থেকে বিরত থাকা উচিত। ফোন রিপেয়ার হয়েছে কিনা তা বুঝার সহহ উপায় হতে পারে ফোনের ফ্রেম ও ডিসপ্লে। 

ফোন যদি আনপ্রফেশনাল টেকনিশিয়ান দ্বারা রিপেয়ার করা হয়ে থাকে, তবে খুব সহজে রিপ্লেস করা গ্লাস দেখতে পাবেন। যেসব ফোন একাধিকবার রিপেয়ার করা হয়েছে, উক্ত ফোনগুলো থেকে দূরে থাকা উত্তম।

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

সেকেন্ড হ্যান্ড অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

👉 সকল সিমের প্রয়োজনীয় কোড জেনে নিন (সাথে সেরা সিম অফার)

সকল কম্পোনেন্ট কাজ করছে কিনা চেক করুন

সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে ফোন চেক করতে হবে। ফোন হাতে পাওয়ার পর নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা চেক করুন।

  • পাওয়া বাটন ও ভলিউম বাটন
  • চার্জিং পোর্ট (চার্জ হচ্ছে কিনা চেক করুন)
  • ব্যাক ও ফ্রন্ট ক্যামেরা
  • কলের সময় প্রক্সিমিটি সেন্সর কাজ করে কিনা
  • ব্রাইটনেস ফুল করলে ডিসপ্লে ঠিকভাবে কাজ করে কিনা
  • স্পিকার

ফোন কত পুরোনো তা চেক করুন

পুরোনো ফোন কেনার ক্ষেত্রে উক্ত ফোনের বয়স জানতে পারবেন বিক্রেতার কাছ থেকে প্রাপ্ত ফোন কেনার রশিদ থেকে৷ এছাড়া ফোনের অবস্থা দেখেও ফোন কত সময় ধরে কি পরিমাণে ব্যবহৃত হয়েছে তা ধারণা করা যায়। চার্জার, বক্স, ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যদি বিক্রেতা প্রদান করতে না পারে তাহলে উক্ত ফোন না কেনা শ্রেয়।

এছাড়া যে ফোনটি কিনতে যাচ্ছেন উক্ত ফোন যদি বেশি আগের মডেল হয়ে থাকে, তবে সেটি কেনা থেকে বিরত থাকুন। বেশি আগের ফোনগুলো অনেক আগে তৈরী হয়ে থাকে, যার ফলে সময়ের সাথে সাথে ফোনগুলোর পারফরম্যান্স বর্তমান সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে উঠতে পারেনা।

উল্লেখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করে ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনলে ঠকবেন না আশা করি। পোস্টটি শেয়ার করে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের এই বিষয়ে জানাতে পারেন যা পরে তাদের কাজে আসবে।

👉 ভিডিওঃ পুরাতন ফোনের গতি বাড়ানোর কৌশল

👉 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন কনফার্ম করুন!

[★★] প্ৰযুক্তি নিয়ে লেখালেখি করতে চান? এক্ষুণি একটি টেকবাজ একাউন্ট খুলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে পোস্ট করুন! techbaaj.com ভিজিট করে নতুন একাউন্ট তৈরি করুন। হয়ে উঠুন একজন দুর্দান্ত টেকবাজ!

[ad_2]

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url