নিমগাছ খুদে গল্প - Sportsbd
[ad_1]
খুদে গল্প:নিমগাছ
বনফুল
কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে। পাতাগুলো ছিঁড়ে শিলে পিষছে কেউ!
কেউবা ভাজছে গরম তেলে ।
খোস দাদ হাজা চুলকানিতে লাগাবে ।
চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ ।
কচি পাতাগুলো খায়ও অনেকে ।
এমনি কাঁচাই….
কিম্বা ভেজে বেগুন-সহযোগে।
যকৃতের পক্ষে ভারি উপকার ।
কচি ডালগুরো ভেঙে চিবোয় কত লোক দাঁত ভালো থাকে। কবিরাজরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বাড়ির পাশে গজালে বিজ্ঞরা খুশি হন ।
বলে- ‘নিমের হাওয়া ভালো, থাক্, কেটো না।’
কাটে না, কিন্তু যত্নও করে না ।
আবর্জনা জমে এসে চারিদিকে।
শান দিয়ে বাঁধিয়েও দেয় কেউ— সে আর-এক আবর্জনা ।
* হঠাৎ একদিন একটা নতুন ধরনের লোক এলো ।
মুগ্ধদৃষ্টিতে চেয়ে রইল নিমগাছের দিকে । ছাল তুললে না, পাতা ছিড়লে না, ডাল ভাঙলে না, মুগ্ধদৃষ্টিতে চেয়ে রইল শুধু । বলে উঠল, – ‘বাহ্, কী সুন্দর পাতাগুলো … কী রূপ! থোকা থোকা ফুলেরই বা কী বাহার… একঝাঁক নক্ষত্র নেমে এসেছে যেন নীল
যে আকশ থেকে সবুজ সায়রে । বাহ্-‘
খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে চলে গেল ।
কবিরাজ নয়, কবি ।
নিমগাছটার ইচ্ছে করতে লাগল লোকটার সঙ্গে চলে যায় । কিন্তু পারল না । মাটির ভিতরে শিকড় অনেক দূরে চলে গেছে। বাড়ির
পিছনে আবর্জনার স্তূপের মধ্যেই দাঁড়িয়ে রইল সে ।
ওদের বাড়ির গৃহকর্ম-নিপুণা লক্ষ্মীবউটার ঠিক এক দশা ।
source: পুথিনিলয় বই
এই কন্টেন্ট এর সারবস্তু গৃহীত হয়েছে © পুঁথি নিলয় বই প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিত থেকে নেওয়া হয়েছে।
[ad_2]