ঘুম ভালো করতে ইসলামী বিধান
[ad_1]
ঘুম ভালো করতে চাইলে অবশ্যই সকাল সকাল ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজের পর জেগে থাকা পছন্দ করতেন না।
রাতের এক তৃতীয়াংশ সময়ের মধ্যে এশার নামাজ পড়ে ফেলা উচিত। যারা তাহাজ্জুদের নামায পড়তে ইচ্ছুক তাদের জন্য সকাল সকাল ঘুমানোর আরো প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এশার নামাজ পড়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেলে ফজরের নামাজের সময় উঠতে দেরি হয় না। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজের পর জেগে থাকা, গল্পগুজব করা পছন্দ করতেন না ।
তবে যদি তা আমলের জন্য হয় তাতে কোনো সমস্যা নেই। যেমন- নামাজ পড়া, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা, আত্নীয় স্বজনের সাথে কথা বলা ইত্যাদি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য রাতের অন্ধকারের সময়টাকে বিশ্রামের জন্য ও দিনের সময়টাকে রিজিক সন্ধানের জন্য দিয়েছেন।
তবে দিনের প্রথম ভাগের সময়টাকে বেশি বরকতময় করেছেন। যে যেই কাজ করে সেটা যদি দিনের প্রথম ভাগের সময়টাতে শুরু করে তাহলে তা অবশ্যই বরকতময় হবে।
সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য ঘুমানোর সঠিক সময় সম্পর্কে অবগত করে গেছেন। বৈজ্ঞানিক মতেও যারা সকাল সকাল ঘুমায় ও সকাল সকাল উঠে তাদের আইকিউ অন্যদের তুলনায় বেশি ভালো হয়।
বিজ্ঞানীরা একটি পরীক্ষায় দেখেছেন, যারা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে তাদের সিজিপিএ অন্যদের তুলনায় বেশি ভালো হয়।
ইসলামী বিধান
- ঘুমানোর আগে অবশ্যই ভালো করে ওযু করে ঘুমাতে হবে।
- অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার জিকির করে ঘুমাতে হবে। নাহলে তা কিয়ামতের দিন লজ্জার বিষয় হবে।
- মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমানোর আগে বিছানা এক টুকরো কাপড় দিয়ে তিনবার ঝাড়ু দিতেন যাতে কোন বিষাক্ত পোকামাকড় তাকে কামড় দিতে না পারে।
- অবশ্যই ডান কাত হয়ে,কিবলামুখী হয়ে,ডানহাত মুখের নিচে দিয়ে ঘুমানো উচিত।
- এতে হৃদপিন্ড সুস্থ থাকে। বাম কাত হয়ে ঘুমালে হৃদপিন্ডের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সূর্যোদয়ের পরে ঘুমালে স্বাভাবিকদের তুলনায় এদের ছয় বছর আয়ু কমে যায়। তাই শরীরের সুস্থতার জন্য ও ভালো ঘুমের জন্য উপরের টিপস গুলো খেয়াল করতে পারেন।
[ad_2]